বিআরটিএ–দুদকসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রেষণে পদায়ন চায় পুলিশ

Passenger Voice    |    ১১:২৯ এএম, ২০২৪-০৩-০২


বিআরটিএ–দুদকসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রেষণে পদায়ন চায় পুলিশ

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ), মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, দুর্নীতি দমন কমিশনসহ (দুদক) বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রেষণে পুলিশ কর্মকর্তাদের পদায়নের দাবি জানিয়েছেন বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

পুলিশ সপ্তাহ-২০২৪-এর তৃতীয় দিন গত বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসব দাবি তুলে ধরেন। রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে এ সম্মেলন হয়। এতে পুলিশ সুপার থেকে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) পদমর্যাদার কর্মকর্তারা অংশ নেন। বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত এ বৈঠক হয়।

 বৈঠকে উপস্থিত একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা  জানান, বৈঠকে অংশ নেওয়া পুলিশ কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে কেনাকাটায় পুলিশের মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) আর্থিক ক্ষমতা বাড়ানোর প্রস্তাব করেন। তাঁরা বলেন, প্রশাসন ক্যাডারের উপসচিবসহ অন্যান্য সংস্থায় কর্মরত কর্মকর্তাদের মতো গাড়ি কিনতে সুদমুক্ত ঋণ চান তাঁরা।

পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোয় প্রেষণে পুলিশ কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানান। এর কারণ ব্যাখ্যা করে ওই কর্মকর্তা বলেন, সেখানে অবস্থানরত বাংলাদেশি নাগরিকদের পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সনদসহ আইনি সহায়তা দিতে পুলিশের দরকার পড়ে। যেসব দেশে দূতাবাস আছে, সেখানে বাংলাদেশিরা অনেক সময় অপরাধ প্রবণতায় জড়িয়ে পড়েন। দূতাবাসে প্রেষণে নিয়োগ পাওয়া পুলিশ কর্মকর্তারা ওই সব বাংলাদেশির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে পারবেন।

আরেক পুলিশ কর্মকর্তা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ), মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, দুর্নীতি দমন কমিশনসহ (দুদক) বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রেষণে পুলিশ কর্মকর্তাদের পদায়নের প্রস্তাব দেন।

বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ সদর দপ্তরের মুখপাত্র ইনামুল হক সাগর আজ বিকেলে বলেন, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন প্রধানমন্ত্রী। পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রস্তাব ও চাওয়া জনস্বার্থে পর্যায়ক্রমে বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

বৈঠক সূত্র জানায়, পুলিশ কর্মকর্তাদের বক্তব্য শেষে প্রধানমন্ত্রী তাঁদের উদ্দেশ্যে বলেন, পুলিশের জন্য আলাদা মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হবে। সন্ত্রাসী হামলায় আহত ও অসুস্থ পুলিশ সদস্যের চিকিৎসার জন্য মেডিকেল কোর গঠন করা হবে। এ জন্য রাজারবাগে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালকে (সিপিএইচ) সম্প্রসারিত করে এর সেবার মান বাড়ানো হবে। পুলিশকে সামাজিক সম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে। প্রযুক্তিনির্ভর পুলিশিংয়ের ওপর পুলিশ বাহিনীকে জোর দিতে হবে। তিনি মেট্রোরেলের নিরাপত্তায় পুলিশের সম্পৃক্ততা বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে যোগাযোগ করে মানুষ পুলিশের কাছ থেকে ভালো সেবা পান বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি এ জন্য পুলিশ বাহিনীকে ধন্যবাদ জানান। প্রধানমন্ত্রী পুলিশের তদন্তের মানের পাশাপাশি কমিউনিটি ও বিট পুলিশিং জোরদার করে সেবার মান বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

প্যা/ভ/ম